বলাগড়ে ভাঙচুর বিধায়কের কার্যালয়

অন্তরদ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে ময়দানে বিজেপি

বলাগড়ে ভাঙচুর বিধায়কের কার্যালয়

বলাগড়ে ভাঙচুর বিধায়কের কার্যালয়-সহ পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি। ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। বুধবার বিধায়ক মনোরঞ্জন বেপারী যুব তৃণমূলের নেত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। তার দেহরক্ষী তুলে নেওয়ার বিষয়ে রুনাকে দায়ী করেছিলেন। বিধায়ক মনোরঞ্জন বেপারী রুনা খাতুনকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। এরপরেই বুধবার গভীর রাত্রে জিরাটের আহমেদপুরে বিধায়কের কার্যালয় ভাঙচুর চলে।

যুব তৃণমূলের নেত্রী রুনা খাতুনকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন বেপারী। এমনকি তার দেহরক্ষীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগও করেন বিধায়ক। কার্যালয়ে থাকা টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর হয় ও দলীয় পতাকা ছিড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। শুধু তাই নয় বিধায়ক কার্যালয়ে কাদা লেপে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।অভিযোগের পরেই বুধবার রাতে বিধায়কের কার্যালয়ে চলে ভাঙচুর এবং পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে চলে ভাঙচুর বলে অভিযোগ। ঘটনার রাতেই বিধায়ক ফেসবুকে লেখেন, রুনা খাতুনের লোকজন তার অফিস ভাঙচুর করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন বলাগড়ে এসে তার জবাব দেবেন। বিধায়কের অফিস থেকে চলতি মাসের আগামী ৭ তারিখে ফেসবুক লাইভ করে শেষ জবাব দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বিধায়ক। সেই অফিসই ভাঙচুর করে, তার ফেসবুক লাইভ বানচাল করার চেষ্টা করা হয়।

বিধায়ক কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরেই আসানপুর গ্রামে জিরাট পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য চম্পা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। অভিযোগ, সেই সদস্যের বাড়িতেও হামলা চালায় ৩০ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হয় জানলা এবং দরজা। চম্পার স্বামী সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাকেও ঘর থেকে টেনে উঠোনে ফেলে মারধর করা হয়। মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে চম্পা মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রুনা খাতুনের নেতৃত্বে এই আক্রমণ হয়েছে। রুনা ছাড়াও তার স্বামী সিজা কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অরিজিৎ দাস, জিরাট পঞ্চায়েতের প্রধান তপন দাস এই হামলায় ছিলেন।

পাশাপাশি রুনা খাতুন বিধায়কের অভিযোগগুলিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, বিধায়ক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তিনি কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে নেই। বরংচ বিধায়ক মনোৰঞ্জনবাবু তৃণমূল দলটিকে বদনাম করে চলেছেন। 

তৃণমূলের এই অন্তরদ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে ময়দানে নেমে পরে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় তারা পোস্টারিং করে । বিধায়ক পালিয়েছে, গোষ্ঠী কোন্দল সামাল দিতে পারছে না তাই উপনির্বাচন করা হোক। এমনই দাবি করে পোস্টার মারা হয়। সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।

বিজেপি নেতা চিরঞ্জিত রায় জানান, বিষয়টা মারামারি নিয়ে নয়, বিষয়টা হলো বলাগরের মানুষ তাদের কাছ থেকে কি পরিষেবা পাচ্ছে। তাদের নিজেদের দলের লোকেরাই সুরক্ষিত নয়। একে অপরের কে মারধর করছে। এরা বলাঘরের মানুষকে কি সুরক্ষা দেবে। ভারতীয় জনতা পার্টি পোস্টারিং এ বিশ্বাসী নয়। এটা তাদের দলের অন্তরদন্দ। আমাদের দলের পক্ষ থেকে এরকম কোন নির্দেশ নেই পোস্টারিং করার। বলাকরের মানুষ ঠকেছে, পরিযায়ীর মত কলকাতা থেকে বসে ফেসবুক লাইভ করেন। বিধায়কের কাছ থেকে কোন পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাই উপনির্বাচন হলে খারাপ হয় না।