পার্পল-অরেঞ্জ লাইনে থাকছে না টিকিট বুকিং কাউন্টার, নয়া পদক্ষেপ মেট্রো কর্তৃপক্ষের

মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী  ০১/০৮/২০২৪ থেকে এই তিনটি স্টেশনকে "বুকিং কাউন্টার বিহীন স্টেশন" হিসাবে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ আরও জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন...

পার্পল-অরেঞ্জ লাইনে থাকছে না টিকিট বুকিং কাউন্টার, নয়া পদক্ষেপ মেট্রো কর্তৃপক্ষের
কলকাতা মেট্রো (ফাইল চিত্র)

অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: মেট্রোয় চড়বেন কিন্তু স্টেশনে থাকবে না কোনও টিকিট কাউন্টার। এবার  মেট্রো রেলওয়ে 'পার্পল' এবং 'অরেঞ্জ' লাইনের তিনটি স্টেশনকে 'বুকিং কাউন্টার বিহীন' স্টেশনে পরিণত করতে চলেছে।  একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে আগামী ০১.০৮.২০২৪ থেকে পার্পল লাইনের তারাতলা ও সখেরবাজার মেট্রো স্টেশন এবং অরেঞ্জ লাইনের কবি সুকান্ত স্টেশন 'বুকিং কাউন্টার বিহীন' স্টেশন হিসেবে চালু হতে চলেছে। তারাতলা স্টেশনে দৈনিক গড় যাত্রী হয় মাত্র ৭০ জন। যেখানে গড়ে ২২০ জন যাত্রী প্রতিদিন কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশন ব্যবহার করেন। সখেরবাজারে এই সংখ্যা মাত্র ৫৫ জন।  

মেট্রোরেল সূত্রে খবর, যেহেতু উল্লেখিত তিনটি স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম হচ্ছে তাই মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী  ০১/০৮/২০২৪ তারিখ থেকে এই তিনটি স্টেশনকে "বুকিং কাউন্টার বিহীন স্টেশন" হিসাবে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এই স্টেশনগুলিতে ওই দিন থেকে টোকেন, নতুন স্মার্ট কার্ড বিক্রি বা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার জন্য কোনও বুকিং কাউন্টার খোলা থাকবে না। এবং কোনও বুকিং কর্মীও  উপস্থিত থাকবেন না। পরিবর্তে, যাত্রীদের স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM) থেকে টোকেন, স্মার্ট কার্ড, কাগজের QR কোড-ভিত্তিক টিকিট কিনতে হবে। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Discrimination-against-wb-in-niti-ayog-says-Mamata-banerjee

সূত্রের খবর, যাত্রীরা এই মেশিনগুলি থেকে তাঁদের স্মার্ট কার্ডও রিচার্জ করতে পারবেন। এজন্য, এসব স্টেশনে ইতিমধ্যে ASCRM মেশিন বসানো হয়েছে। এই তিনটি স্টেশনের প্রতিটিতে যাত্রীদের সুবিধার জন্য দুটি করে  ASCRM মেশিন বসানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ASCRM মেশিনগুলি কলকাতা মেট্রোতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আরও মনোরম করতে চলেছে৷ যাত্রীরা ASCRM-এ UPI পেমেন্ট ভিত্তিক টিকিটিং ব্যবস্থাও বেছে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/ISF-MLA-Naushad-Siddiqui-suggests-state-to-take-initiative-in-making-snake-venom-medicine

 আশা করা হচ্ছে যে, মেট্রো ব্যবহারকারীরা নতুন এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাবেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আগামী ৬ মাস মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন এবং যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করবেন। ছ'মাস পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।