'দেবতা হলে তাঁর রাজনীতি করা শোভা পায় না', জগন্নাথদেব বিতর্কে মোদিকে খোঁচা মমতার

দিন কয়েক আগে পুরীতে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মোদির ভক্ত জগন্নাথ! এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন পুরীর বিজেপি প্রার্থী সম্বিত পাত্র। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন...

'দেবতা হলে তাঁর রাজনীতি করা শোভা পায় না',   জগন্নাথদেব বিতর্কে মোদিকে খোঁচা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: 'স্বয়ং জগন্নাথ দেবও মোদির ভক্ত'। দিন কয়েক আগে পুরীতে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মোদির ভক্ত জগন্নাথ! এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন পুরীর বিজেপি প্রার্থী সম্বিত পাত্র। তাঁর সেই বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ টেনে এবার মোদিকে পালটা আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "নাড্ডা বলেছেন, উনি সব দেবতার রাজা। কেউ বলেন, জগন্নাথ দেবও ওঁর ভক্ত। সকলে ওঁর ভক্ত হলে, ওঁর জন্য একটা মন্দির করে দেব।'' মঙ্গলবার বেহালায় নির্বাচনী জনসভা থেকে ঠিক এ ভাষাতেই বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়লেন মমতা। 

এদিনের সভা থেকে রেমাল ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে ফের প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যুক বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। বলেন, ''মিথ্যা বলা সাংবিধানিক অধিকার নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দিল্লি থেকে বসে সাইক্লোন সামলেছেন, বলব প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যা বলা সাংবিধানিক অধিকার নয়। কাজও নয়। কাকে নিয়ে করিয়েছিলেন? এনডিআরএফ দেখাচ্ছে? টাকাও দেব, আবার বড় কথা বলবেন! উনি নাকি মা কালীকে ডেকে সাইক্লোন আটকেছে।"
 
ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্য প্রশাসন কী কী কাজ করেছে, সেটা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"৪৬ লক্ষ লোককে তুলে বাঁচিয়েছি। সাত জন মারা গিয়েছে। সময় মতো ব্যবস্থা না নিলে কয়েক লক্ষ লোক মারা যেতেন। প্রশাসন সাধ্য মতো কাজ করেছে। আমি পর্যবেক্ষণ করেছি।"  মোদিকে খোঁচা দিয়ে মমতা আরও বলেন, "আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি, আর সাত-আট দিন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। তার পর আর থাকবেন না।" 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Road-jam-in-Kolkata-for-Lok-Sabha-Election-Campaign

প্রসঙ্গত, সপ্তম তথা শেষ দফা নির্বাচনের হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপর আগামী ৪ জুন ভোটবাক্সে নির্ধারিত হবে সবপক্ষের প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ। তার আগে শেষদফা প্রচারে ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে টানতে কার্যত একের পর এক নির্বাচনী জনসভা থেকে গেরুয়া শিবিরকে অল আউট অ্যাটাক তৃণমূল সুপ্রিমোর।