মোদির ৪০০ পারের গ্যারান্টি! কোন 'ফুল' ফুটবে অপেক্ষায় রায়গঞ্জবাসী

গতবার উত্তরবঙ্গ থেকে জেতা আসনগুলির মধ্যে ছিল রায়গঞ্জও। এই কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রীও হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু সাংসদ হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষোভ ছিল দলের অন্দরেই। আরও জানুন...

মোদির ৪০০ পারের গ্যারান্টি!  কোন 'ফুল' ফুটবে অপেক্ষায় রায়গঞ্জবাসী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদি (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দ্বিতীয় দফায় ভোট রায়গঞ্জে। এই মুহুর্তে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে সব পক্ষ। এই কেন্দ্রটিতে লড়াই এবার যথেষ্ট কঠিন এমন কথাও ঘুরছে বিজেপির অন্দরে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার প্রচার করে গেলেন রায়গঞ্জে। 

উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গতবার উত্তরবঙ্গ থেকে জেতা আসনগুলির মধ্যে ছিল রায়গঞ্জও। এই কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রীও হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু সাংসদ হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষোভ ছিল দলের অন্দরেই। ফলে শেষ পর্যন্ত দেবশ্রীকে দক্ষিণ কলকাতায় এনে দাড় করাতে হয় সুকান্ত মজুমদারদের। এই আসনে লড়াই কঠিন এমন উঠে আসে দলের সমীক্ষায়। এবার এই কেন্দ্রে কার্তিক পালকে পদ্ম প্রার্থী করা হয়েছে। তবুও কপালের ভাঁজ কমেনি বলেই খবর।

এই কেন্দ্র নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এমন মন্তব্য করেছিলেন রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী জিতে যেতে পারে। কিন্তু তাহলে কেন্দ্রীয় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন রায়গঞ্জবাসী। এই আবহে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী প্রচার করলেন সেখানে।  বক্তব্যে মোদি গ্যারেন্টির পাশাপাশি সন্দেশখালির প্রসঙ্গে তুলে আনেন। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ তো বিজেপির শক্তশালী তাহলে কেন সেখানে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ এনে ভোট চাইতে হচ্ছে? তবে কী রায়গঞ্জে এবার হতে চলেছে কাটায় কাটায় টক্কর?

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Weather-Office-Predicts-Heat-Wave-in-Kolkata-and-south-Bengal-districts

 এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী। কৃষ্ণ কল্যানী। তিনি রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিধায়ক ছিলেন। এলাকার মানুষের কাছে তিনি পরিচিত মুখ। সাংগঠনিক ভাবেও দক্ষ।  প্রার্থী হওয়ার পর সব পক্ষকে একজোট করে প্রচার চালাচ্ছেন।  ব্যবসায়ী হওয়ায় মার্চেন চেম্বারগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ ভালো।  অন্য দিকে জোটের এখানে কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান আলি রামজ, ভিক্টর বলেই পরিচিত। একদা ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বিধায়কও হয়েছিলেন। তবে এই কেন্দ্রের অন্যতম দাবিদার ছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির জায়া দীপা দাশমুন্সি। সংখ্যালঘু ভোট ইমরানের দিকে আসতে পারে এমন আশা করেও জেলা কংগ্রেসে অন্দরে প্রার্থীকে নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে। সবমিলিয়ে রায়গঞ্জ লোকসভার এবারের লড়াই জমজমাট।