Ration Scam News: দীর্ঘদিন ধরে জেলে থাকায় অসুস্থ শরীর, জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে জ্যোতিপ্রিয়

দু'মাস আগে ইডির আদালতে জমা দেওয়া অতিরিক্ত তৃতীয় চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে ২০০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন...

Ration Scam News: দীর্ঘদিন ধরে জেলে থাকায় অসুস্থ শরীর, জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে জ্যোতিপ্রিয়
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হয়ে জেলে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী কোর্টের কাছে কিছু দিন সময় চান। বিচারপতি সেই আবেদনে সারা দিয়ে ইডিকে ৪ দিন সময় দিয়েছেন। আগামী ২৫ জুন, মঙ্গলবার এই জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি।

গত এপ্রিলে প্রচন্ড গরমে প্রেসিডেন্সি জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডেকে পাঠানো হয় জেলের চিকিৎসকদের। এমনিতেই সুগার এবং প্রেশার জনিত সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন তিনি। তার উপর অত্যধিক গরমে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় বলেই জেল সূত্রে খবর। সেই কারণে বালুর পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার জামিনের আবেদন করা হলেও আদালত তা মঞ্জুর করেনি। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ নাম জড়িয়েছে একাধিকজনের। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Due-to-mistake-of-police-three-bangladeshi-man-detained-in-jail-for-six-years

দু'মাস আগে ইডির আদালতে জমা দেওয়া অতিরিক্ত তৃতীয় চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে ২০০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। ২০১৪ সালে বালু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস এবং তাঁর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির ৩৫০ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওলার মাধ্যমেও রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ তুলেছে ইডি।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Kolkata-police-lodge-a-complain-against-a-lower-court-lawyer-at-hc

ইতিমধ্যেই ১০ কোটি টাকার ১১টি সম্পত্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। এই বিশ্বজিৎ দাস ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান পদে থাকা শংকর আঢ্যের কর্মচারী ছিলেন। পরে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পৌঁছে দিতেন শংকর আঢ্যের কাছে। তা হাওলার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করে দুবাইয়ে পাচারে সহযোগিতা করতেন বিশ্বজিৎ। বালু, বিশ্বজিৎ এবং শংকর আঢ্যকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি। বিশ্বজিৎকে তার সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি।