মিড-ডে মিলের চালে পোকা, পড়ুয়াদের নিম্নমাণের খাবার দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার

ঐ ICDS সেন্টারে প্রসূতি মহিলা সহ মোট ২৪ জন খাবার নেন। সেই ২৪ জন খাবারে দেওয়া হয় নামমাত্র কিছু সব্জি।

মিড-ডে মিলের চালে পোকা, পড়ুয়াদের নিম্নমাণের খাবার দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বারবার বলা সত্ত্বেও মিলছে না সুফল। ফের বাচ্চাদের মিড-ডে মিলে নিম্নমাণের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠল ICDS-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ধুন্ধুমার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের বান্দিপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কেঁচকাপুর। অভিযোগ, এই গ্রামের ICDS সেন্টারে প্রসূতি মহিলা সহ খুদে বাচ্চাদের দুপুরের খাবারে অত্যন্ত নিম্নমাণের মিড-ডে মিল পরিবেশন করা হয়। 

জানা গিয়েছে, এই  ICDS সেন্টারের মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্বে যিনি বা যারা রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে নিম্নমাণের শাকসবজি দিয়ে রান্না ও চাল না ধুয়েই পোকা চালের ভাত, খিচুড়ি রান্না করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঐ ICDS সেন্টারে প্রসূতি মহিলা সহ মোট ২৪ জন খাবার নেন। সেই ২৪ জন খাবারে দেওয়া হয় নামমাত্র কিছু সব্জি। এদিন সকালে এলাকার মানুষ জন হাতেনাতে ধরে ফেলেন ICDS সেন্টারে কর্মরত ওয়ার্কার এবং ঐ সেন্টার ইনচার্জকে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় চালে পোকা পাওয়া যায়, ভালো করে রান্নার চাল না ধোয়ার কারণে পোকা অবস্থাতেই সেই চাল রান্না করা হয়। এমন কি প্রতিনিয়ত শিশুদের জন্য খাবারে নাম মাত্র সব্জী দেওয়া হয়।  

এদিকে এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সেন্টারে দায়িত্বে থাকা ওয়ার্কার এবং সেন্টার ইনচার্জকে খাবারের নিম্ন মানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান সময়মতো পয়সা পাওয়া যায় না। তিনি এই সেন্টারে ইনচার্জ হয়ে এসেছেন। তাঁকে একসঙ্গে ২টি সেন্টার দেখতে হয়। তিনি টাকা কোথায় পাবেন বলেও পাল্টা দাবি করেন। যদিও পরে চালে পোকার বিষয়টি নিয়ে এক প্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে যান ওই সেন্টার ইনচার্জ। বিভিন ভাষায় ঐ সংবাদ মাধ্যমের কর্মীকে আক্রমণ করেন তিনি।

 যদিও পুরো বিষয়টি গাফিলতি থাকলে ঠিক করতে হবে, এতে বিক্ষোভ দেখানোর কিছু নেই। গাফিলতি যদি থেকেই থাকে তাহলে বসে ঠিক করে নিতে হবে বলে জানান বান্দিপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত মেম্বার।