Jadavpur University Ragging News: 'মৃত পড়ুয়াকে' বিবস্ত্র করে ইন্ট্রো নেওয়ার নামে করা হচ্ছিল অত্যাচার, পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ধৃতদের জেরা করে ৯ অগাস্ট রাতের অত্যাচারের তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে চলেছিল মৃত পড়ুয়ার ওপর নির্যাতন। বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন...

Jadavpur University Ragging News: 'মৃত পড়ুয়াকে' বিবস্ত্র করে ইন্ট্রো নেওয়ার নামে করা হচ্ছিল অত্যাচার, পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
বাঁ দিকে নিহত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডু। ডান দিকে ধৃত সৌরভ চৌধুরী (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সময় যত গড়াচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মতো খুলছে যাদবপুরকাণ্ডের রহস্য (Jadavpur University)! পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বপ্নদীপ (Student Death News) মৃত্যুর তদন্তে পুলিশের দাবি,  গত ৯ অগাস্ট রাতে নৃশংস র‍্যাগিং হয় মৃত পড়ুয়ার সঙ্গে। তাঁকে দিয়ে জোর করে চিঠি লেখানো থেকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, মাত্র ৯ জন নয়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে আরও অনেকে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০ টা বেজে ৫ মিনিট, ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে গিয়ে পৌঁছায় একটি ফোন। যেখানে নাকি বলা হয়, একজন ছাত্র অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, একটা চিত্রনাট্য তৈরি করে ওই ছেলেটির উপর অত্যাচার করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৯ অগাস্ট রাত ১০ টা ৫ মিনিট নাগাদ ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে একজনের ফোন যায়। সেই ফোনে ট্রু-কলারে নাম নোট করে তিনি ফোন করেন হস্টেল সুপারকে। জিজ্ঞাসা করেন, এই নামে হস্টেলে কেউ আছে কিনা। সেই অনুসারে, তাঁকে বিষয়টি দেখতে বলেন। অন্যদিকে চলছিল নির্যাতন। রাত ১১ টা বেজে ৩০ মিনিট নাগাদ পরিচয় পর্বের নাম করে একটা ঘরের মধ্যে চলতে থাকে মানসিক নির্যাতন। সূত্রের খবর, মৃত পড়ুয়াকে বিবস্ত্র করে ইন্ট্রো নেওয়ার নাম করে করা হচ্ছিল অত্যাচার।

গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এরপর রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওই ছাত্রকে হস্টেলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে ৯ অগাস্ট রাতের অত্যাচারের তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে চলেছিল মৃত পড়ুয়ার ওপর নির্যাতন। এরপর ৩তলা থেকে পড়ে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটে। সূত্রের খবর, প্রথমে ৪ তলার ঘরে শুরু হয় নির্যাতন। এরপরে ৪ তলা থেকে ৩ তলার একের পর এক ঘরে এনে পরিচয় পর্ব শুরু হয়। ৯ তারিখের আগের দিনও হয়েছিল র‍্যাগিং। সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রের নাম করে চিঠি লেখানোয় মুখ্য ভূমিকা ছিল সৌরভ এবং সপ্তকের।
বিবস্ত্র করে ‘ইনট্রো’, দেড় ঘণ্টা নির্যাতন - জেরায় মিলেছে এই তথ্য পুলিশ সূত্র। 

ডিন অফ স্টুডেন্টকে ফের তলবের কারণ, বহু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না পুলিশ সূত্রের খবর। সেই তথ্য ডিন অফ স্টুডেন্টস-এর কাছে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পুলিশের তরফ থেকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস-এর কাছে চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন নথি। 

যে প্রশ্নগুলি করা হবে, এবং যে নথি চাওয়া হয়েছে:-

১. মেইন হোস্টেলে যারা যারা থেকেছে সমস্ত নিয়মাবলী মেনে কি তাদের সেখানে থাকতে দেওয়া হয়েছিল?

২. প্রাক্তন ছাত্ররা যারা সেখানে থাকত বছরের পর বছর তার কোনও নথি তার কাছে আছে কিনা?

৩. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেইন হোস্টেলের কোন কোন নথি তাদের কাছে রেখেছেন?

৪. হোস্টেলের রুম বণ্টনের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম কি মানা হয়েছিল?

৫. পুলিশের হাতে যে তথ্য এসেছে ধৃতদের জেরা করে সেখানে জানা গেছে যে, ঘটনার দিন ডিন অফ স্টুডেন্টস-এর কাছে ফোন গিয়েছিল সেই ফোন কে করেছিল? True caller-এ কি নাম উঠেছিল তার? তখন তিনি কি কোনও স্টেপ নিয়েছিলেন? এই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সূত্র লালবাজার। গতকাল ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ঘেরাও করে রাখা হয়। যার কারণে গতকাল তিনি লালাবাজার যেতে পারেননি। তবে সহযোগিতা যে তিনি করবেন পুলিশকে এবং যেতে না পারার কারণ সবটাই তিনি জানিয়েছিলেন যাদবপুর থানা মারফত লালবাজারকে।