Ration Scam: বালুর প্রশ্রয়ে ধনকুবের বাকিবুর! ED-র প্রথম চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য পেশ

এই দুর্নীতি টাকার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার ও বেশি। তার মধ্যে ৩১ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়ছে। সূত্রের খবর, রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় রেশন সামগ্রীর খোলা বাজারে বিক্রি হত।

Ration Scam:  বালুর প্রশ্রয়ে ধনকুবের বাকিবুর! ED-র প্রথম চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য পেশ
নিজস্ব চিত্র ।।

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার (12.12.2023) প্রথম চার্জশিট পেশ ইডির বিশেষ আদালতে। ইডির বিশেষ আদালতে পেশ হল রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের প্রথম চার্জশিট। যেখানে নাম রয়েছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এবং ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া আটাকল ব্যাবসায়ী বাকিবুর রহমানের নাম। গত ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে তার গ্রেফতারির ২ মাসের মধ্যে চার্জশিট পেশ করল ইডি। ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট ইডির, ১৬২ পাতার চার্জশিট। এই চার্জশিটে ১০ টি কোম্পানির উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে আটাকল ব্যাবসায়ী বাকিবুর রহমানের ৫টি ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ৫টি সংস্থার নাম রয়েছে এমনটাই ইডি সূত্রের খবর। চার্জশিট এর সঙ্গে ৩ হাজার পাতার নথিও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি, এমনটাই সূত্র মারফত খবর। ১৫০ এর ওপরে সাক্ষী রয়েছে বলেও সূত্র মারফৎ খবরে জানা গিয়েছে।

 ইডির চার্জশিট অনুযায়ী এই দুর্নীতি টাকার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার ও বেশি। তার মধ্যে ৩১ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়ছে। সূত্রের খবর, রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় রেশন সামগ্রীর খোলা বাজারে বিক্রি হত। আর তা নিয়ন্ত্রণ করত বাকিবুর।  তেমনটাই উল্লেখ রয়েছে ইডির পেশ করা চার্জশিটে। এছাড়াও বিভিন্ন নথি রয়েছে ওই চার্জশিটে। খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ট ছিলেন বাকিবুর। চার্জশিটে ৩টি কোম্পানির নাম রয়েছে। যে কোম্পানিগুলির মাধ্যমে রেশন বন্টন দুর্নীতির টাকা ঘুরপথে যেত। পরে সেই কোম্পানিগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

এদিন ইডির বিশেষ আদালতের বিচারক জানতে চান, এই ৩টি কোম্পানির কাকে নোটিশ করা হয়েছিল? যে তার ভিত্তিতে এই ৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে ?

সূত্রের খবর, চার্জশিটে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যে ৫ টি কোম্পানির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ৩টি কোম্পানি হল- ( ১. শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, ২. গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড, ৩. গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড)-তে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাইফোন অর্থাৎ ঘুর পথে গেছে। এমনটাই উল্লেখ ইডির চার্জশিটে। চার্জশিট অনুযায়ী ইডি সূত্রের খবর, কোম্পানিগুলো খুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১২.৬ কোটি টাকা ছিল কোম্পানিগুলোতে। এই টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল। কোম্পানি খোলা থাকাকালীন এর মধ্যে ৯০ শতাংশ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বালুর ও তার মেয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।