Purulia News: শীলার হাতেই ঝালদা পুরসভা, মহকুমা শাসকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার অচলবস্থা কাটাতে আপাতত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চেয়ারপার্সন পদে থাকতে পারবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তীকালীন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইতিমধ্যেই ১২ আসনের ঝালদা পুরসভার সাত কাউন্সিলর পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ দিয়েছেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় কাউন্সিলর পদেও থাকতে পারবেন না, এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন ঝালদার মহকুমা শাসকও। 

আপাতত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ঝালদার মহকুমা শাসকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ঝালদা পুরসভায় কোনও ভাইস চেয়ারম্যান নেই। এই মুহূর্তে ঝালদার চেয়ারম্যান অপসারিত হলে বা তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ হলে পুর এলাকার পরিষেবা ও উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ হয়ে যাবে। এ কথা মাথায় রেখেই আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান থাকবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন শুনানিতে বিচারপতি সিনহা বলেছেন, কাউন্সিলরদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে যে তাঁরা অনাস্থার নোটিশ দিতে পারবেন। তবে পুর এলাকার পরিষেবা, উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আপাতত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল। আগামী ৫ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি। উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে অনাস্থা আনেন শাসকদলেরই পাঁচ কাউন্সিলর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মোট ৭ কাউন্সিলর অনাস্থার চিঠি দেন পুরপ্রধানকে। তার প্রতিলিপি পাঠানো হয় পুরুলিয়ার জেলাশাসক, ডাইরেক্টোরেট অফ লোকাল বডিস কলকাতা, ঝালদার মহকুমা শাসক এবং ঝালদার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে। পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পূর্ণিমা বাগতি এই চিঠি লেখেন। তারপরই চেয়ারম্যান পদ থেকে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের নির্দেশ দেন ঝালদার মহকুমা শাসক। 

বেশ কিছুদিন ধরেই ঝালদা পুরসভার কুর্সি দখল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছিল। পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত বিষয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ছিল। যদিও পরে তা বেড়ে হয় ১৫ ডিসেম্বর। অন্যদিকে, ঝালদার পুরপ্রধানের অপসারণ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হলে তা খারিজ হয়ে যায়। পদ্ধতি মেনে পুরপ্রধান অপসারণ প্রক্রিয়ার কথা বলে ডিভিশন বেঞ্চ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে শাসকদলের পাঁচ কাউন্সিলর অনাস্থার চিঠি দেন। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মহকুমা শাসকের নির্দেশের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিলেন।