প্রয়াত TMC-এর প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ি

প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। এক মেয়েকেও হারিয়েছিলেন তিনি। রেখে গেলেন, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনিকে।

প্রয়াত TMC-এর প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ি

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জটু লাহিড়ি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 
প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ী। শুক্রবার নিজের বাসভবনেই মৃত্যু হয় প্রবীণ এই প্রাক্তন বিধায়কের। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান অসুখে ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন আইসিইউ-তে। এরপর বছরের শুরু থেকেই তাঁর শারীরিক সমস্যাগুলির চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। 

প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। এক মেয়েকেও হারিয়েছিলেন তিনি। রেখে গেলেন, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনিকে। ১৯৩৬ সালের ২৮ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল জটুর। কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় তাঁর। শিবপুর কেন্দ্রে প্রথম বার তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন ১৯৯১ সালে। ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। ১৯৯৬ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। এর মাঝে তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর কংগ্রেস থেকে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন জটু। ২০০১ সালেও বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন জটু। তবে ২০০৬ সালে হেরে যান তিনি। কিন্তু ২০১১ এবং ২০১৬ সালে আবার বিধায়ক হন জটু। 

পাঁচ বার শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। হাওড়া পুরসভার কাউন্সিলরও ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে তৃণমূল ছেড়ে জটু যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এর পর অবশ্য রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরেই চলে যান ওই বর্ষীয়ান নেতা। সম্প্রতি ভুগছিলেনও। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত বছরই বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এর জেরে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন জটু লাহিড়ি। তারপর থেকেই শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়েছিল তাঁর। সে সময় জটু লাহিড়ির মাথায় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলেও জানা যায়।  ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ৫ বার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে বিধাসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে শেষে বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই রাজনীতিবিদ বিজেপির টিকিটে তাঁর পুরনো আসনে আর জিততে পারেননি। তার পর থেকে আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তাঁর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত রাজনৈতিক মহল।