গঙ্গার গ্রাসে গ্রাম, অস্তিত্ব সঙ্কটে মানিকচকবাসী

এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে গোটা এলাকা তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তের মধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা বড় বড় গাছ তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাগর্ভে।

গঙ্গার গ্রাসে গ্রাম, অস্তিত্ব সঙ্কটে মানিকচকবাসী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পুজোর মুখে ভাঙন আতঙ্ক মালদহের একাধিক জায়গায়। আশঙ্কার অশনিসঙ্কেত ভূতনির কালটন টোলা ও কেশবপুর এলাকায়। রবিবার বিকেল থেকে গঙ্গার তীব্র ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। 

এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে গোটা এলাকা তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তের মধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা বড় বড় গাছ তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাগর্ভে। দিন কয়েক আগেই এই এলাকার পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কাজ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। আর এরই মাঝে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।

 জানা গিয়েছে, ভাঙনের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানিকচকের বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভূতনি থানার কুনাল কান্তি দাস ,মানিকচক ব্লক জয়েন্ট বিডিও রমেশ চন্দ্র মন্ডল সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জরুরি পর্যায়ে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন বিধায়িকা। এলাকাবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র বলেন, ''আমি রাতেই খবর পেয়েছি ভুতনিতে নদী ভাঙন হচ্ছে। জরুরি পর্যায়ে যাতে জেলা সেচ দফতর এই এলাকায় কাজ করতে পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করেছি। ভুতনিকে বাঁচাতে তৎপর রয়েছে রাজ্য সরকার। 
গঙ্গা নদীর ভাঙন একটি জাতীয় বিপর্যয়। কিন্তু কেন্দ্র সরকার কোনও রকম সাহায্য করছে না আমাদেরকে। যদি রাজ্য সরকারকে টাকা না দেয় তাহলে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেও তো ভাঙন রোধের কাজ করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার তাও করছে না। রাজ্য সরকার যতটা সম্ভব ভাঙন রোধের কাজ করে যাচ্ছে।''