ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর পুলিশের, তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

ইডির বিরুদ্ধে করা এফআইআর-এর উপর আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পড়ুন বিস্তারিত...

ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর পুলিশের, তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। ইডির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় দেদারবক্স মোল্লা নামে এক ব্যক্তির করা অভিযোগের ভিত্তিতে, সন্দেশখালি থানার ওসি শুভাশিস প্রামাণিকের ইডির বিরুদ্ধে করা এফআইআর-এর উপর আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী ২২ জানুয়ারি আবারও এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন রাজ্যকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে ঐদিন মামলার কেস ডায়েরি এবং পুলিশের করা দুটো এফআইআর-এর অরজিনাল কপি আদালতের প্রোডিউস করতে হবে বলে নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। ইডির করা পাল্টা এফআইআর এর শুনানি হবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজেলাসে। 

অন্যদিকে, এদিনই সন্দেশখালিতে ইডি (ED) আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিজেপির করা জনস্বার্থে মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সংবাদমাধ্যমের খবরের উপর ভিত্তি করে মামলা দায়ের করে আদালতের কাছে আবেদন জানানোর কোনও অর্থ হয় না। তাই এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে আদালত মনে করছে না।  

বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গত শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেরিয়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনী আক্রান্ত হয়। সেই ঘটনায় গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি (BJP)। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে।

আইনজীবী সুস্মিতা দত্ত সাহা দ্রুত শুনানি চেয়ে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার বিজেপির সেই আবেদন মামলাটি আদালতে উঠলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের খবরের উপর ভিত্তি করে এই মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা এবং ঘটনার সত্যতা নিয়ে কোনও অনুসন্ধান করা হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। তারা জানে এই সমস্ত পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করতে হয়। সংবাদমাধ্যমের খবরের উপর ভিত্তি করে মামলা দায়ের করে আদালতের কাছে আবেদন জানানোর কোনও অর্থ হয় না। তাই এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে আদালত মনে করছে না। তাই এই মামলা খারিজ করা হল।