মুসলিম তন্ত্রসাধক করেছিলেন প্রাণপ্রতিষ্ঠা, ২০০ বছরের পঞ্চমুণ্ডি আসনে দেবী দূর্গার আরাধনা

বর্ধমান থেকে আরামবাগগামী সড়কে শেয়ারা বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে বরধিষ্ণু কৈচর গ্রাম যা নব বৃন্দাবন নামে পরিচিত, সেখানে অনুষ্ঠিত হয় জাগ্রত দশভুজার আরাধনা। জানুন বিস্তারিত...

মুসলিম তন্ত্রসাধক করেছিলেন প্রাণপ্রতিষ্ঠা, ২০০ বছরের পঞ্চমুণ্ডি আসনে দেবী দূর্গার আরাধনা
file image

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, চণ্ডাল, সাপ ও শৃগালের মুণ্ডু দিয়ে প্রতিষ্ঠিত জাগ্রত পঞ্চমুণ্ডির আসনে পূজিত হন দেবী দূর্গা। দেবীর আরাধনা চলে চার দিন নয় দীর্ঘ দশ দিন ধরে। পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ থানার অন্তর্গত কৈচর গ্রামে পূজিত হন পঞ্চমুণ্ডির আসনে সরকার বাড়ির মা উমা। 

জানা যায়, এক মুসলিম তন্ত্রসাধক বংশপরম্পরায় তাদের সাধনায় প্রয়োজনীয় মানুষের মাথার খুলিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিয়ে যান দেবীর কাছে। সেটা খুবই একান্তে। এই ব্যতিক্রমী রীতি চলে আসছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। যদিও কৈচর গ্রামের সরকারবাড়ির এই পুজো সেইভাবে প্রচারের আলোক বর্তিকায় আসেনি। বর্ধমান থেকে আরামবাগগামী সড়কে শেয়ারা বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে বরধিষ্ণু কৈচর গ্রাম যা নব বৃন্দাবন নামে পরিচিত, সেখানে অনুষ্ঠিত হয় জাগ্রত দশভুজার আরাধনা। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/CID-Arrests-TMC-Councilor-at-Barasat

অন্যান্য প্রাচীন পুজোর মতোই মহালয়ার রাত্রি পোহালে দেবীপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে বিজয় দশমী পর্যন্ত দশ প্রহরণধারিণীর আরাধনা চলে। পূর্বে বলি প্রথা চালু ছিল। মহাসপ্তমীতে লাল, মহাঅষ্টমী তিথিতে মিস কালো এবং মহানবমীতে শ্বেত শুভ ছাগ বলি দেওয়া হত। কিন্তু ষাট বছর আগে সেবাইত সুধীরচন্দ্র সরকার, গুরুদেব ও পুরোহিতদের অনুমতির সাপেক্ষে ছাগল বলি বন্ধ করে দেন। উল্লেখ্য, দেবীর নবপত্রিকা স্নান ও প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠিত হয় সরকার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত সায়র পুস্করিনি-তে।